২০১৬-তে যাত্রা শুরু করে দ্যু প্রকাশন। কয়েকজন প্রকাশকের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই প্রতিষ্ঠানটি গড়ে উঠেছে। এবং খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তারা তাদের আকর্ষণীয় পেপারব্যাক বইগুলি দিয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় ফিকশন, নন-ফিকশন, শিক্ষামূলক ও অ্যাকাডেমিক বই তারা প্রকাশ করে। এখন পর্যন্ত পেপারব্যাকে বিভিন্ন দেশের রূপকথা, গল্প, রাজনীতিসহ আরো নানা ধরনের বই মিলিয়ে প্রায় ১৫০টির মতো বই প্রকাশিত হয়েছে দ্যু থেকে।
দ্যু প্রকাশকমণ্ডলীর একজন হাসান তারেক সাক্ষাৎকারে পেপারব্যাক বইকে গুরুত্ব দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি বলেন, “দুই ধরনের দিক বলা যেতে পারে। যাতে করে পাঠকের হাতে স্বল্প মূল্যে, কম খরচে একটা বই তুলে দিতে পারি। আর দুই হলো যখন আমরা বই পাবলিশ করি, তখন হার্ডব্যাকে করতে গেলে সেটার পেছনে কস্টিংটা অনেক বেড়ে যায়। হার্ডব্যাকে যখন একটা বই বের করি, সেই জায়গাটায় আমরা পেপারব্যাকে যদি করি তাহলে অন্তত পক্ষে দু খানা বের করতে পারি।”
দ্যু এর লক্ষ্য অধিক পাঠকের হাতে বই পৌঁছে দেয়া এবং নতুন পাঠকশ্রেণী তৈরি করা। সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে হাসান তারেক সেবা প্রকাশনীর উদাহরণ দেন যে, পেপারব্যাক বই দিয়েও সেবা প্রকাশনীর একটি শক্তিশালী পাঠকশ্রেণী তেরি করতে পেরেছে, তারাও নিজেদের বই আরো বিস্তৃত পাঠকশ্রেণীর মাঝে ছড়িয়ে দিতে চান।
একই সঙ্গে তিনি দ্যু প্রকাশনের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে কখা বলেন। অ্যাকাডেমিক বইয়ের বাইরে লাইব্রেরি না থাকার যে সংকট তা দূর করতে ভবিষ্যতে তারা স্কুলপর্যায়ে বইমেলা ও অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে বাচ্চাদেরকে বইয়ের সংস্পর্শে আনতে চেষ্টা করবেন।
২৯ ফেব্রুয়ারি মেলায় হাসান তারেকের এই সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ফারহান মাসউদ।
Comments are closed.