অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০২০-এ প্রকাশিত হয়েছে সুজন দেবনাথ এর প্রায় সাড়ে পাঁচশো পৃষ্ঠার উপন্যাস ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’। প্রকাশক অন্বেষা প্রকাশন।
সাক্ষাৎকারে বইটি নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন তিনি। দর্শনের সঙ্গে গ্রীকদের সম্পর্ক অনেক পুরনো, এর মূল আকর্ষণ সক্রেটিস, প্লেটো এবং অ্যারিস্টটল তিন জনই গ্রীক। তাদের জীবন নিয়ে দীর্ঘ গবেষণার পর বইটি লিখতে শুরু করেন তিনি।
সক্রেটিসের হেমলক পান করে মৃত্যুবরণের ঘটনা থেকে তিনি বইয়ের নাম দিয়েছেন। এ বিষয়ে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “এই বইটি আমি সক্রেটিসকে মেইন চরিত্র করে তৈরি করেছি। আমার মনে হয়েছে যে, সেই সক্রেটিসের সময় থেকেই যারা জ্ঞান চর্চার পিছনে ছুটেছেন, তারা কোনো না কোনোভাবে বিপদে পড়েছেন। যারা মুক্ত পৃথিবীর কথা ভাবেন, তারা একসময় না একসময় হেমলকের ডাক পান।… আজকেও হেমলক প্রাসঙ্গিক, সেজন্যই আমি নামটা ‘হেমলকের নিমন্ত্রণ’ রেখেছি।”
সক্রেটিস, প্লেটো, হেরোডটাসকে কেন্দ্র করে সুজন দেবনাথের এই উপন্যাস। বাকি চরিত্রগুলিও বাস্তব থেকে নেয়া। যেমন: সক্রেটিস, প্লেটো আর হেরোডটাস বাদে আছে সফোক্লিস, ইউরিপিডিস, এস্কিলাস, এরিস্টোফানিস, হিপোক্রাটিস ও জেসথিপি―এরা প্রত্যেকেই বাস্তব চরিত্র অনুসারেই এসেছে। এই চরিত্রদের ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা গল্প।
সুজন দেবনাথ গ্রিসে ইতিমধ্যে প্রাচীন গ্রিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পরিচিত পেয়েছেন, তিন বছর সেখানে থেকে গ্রিসের ক্লাসিক্যাল সময় অর্থাৎ খ্রীষ্টপূর্ব পঞ্চম ও চতুর্থ শতক নিয়ে গবেষণা করেছেন। তিনি মূলত একজন কবি। পেশায় কূটনীতিক। বর্তমানে এথেন্সে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সিলর হিসেবে আছেন।
তিনি কবিতাতে বরাবরই ফিরে যাবেন বলে জানান সাক্ষাৎকারে, তবে কথাসাহিত্যও একই সঙ্গে চর্চা করেন যাবেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি (২০২০) লেখকের সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন শৈলী নাসরিন।
Comments are closed.