ফারুক মঈনউদ্দীন একাধারে একজন গল্পকার, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং ভ্রমণ কাহিনী লেখক। সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করলেও তিনি মূলত একজন গল্পকার। তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৭৮ সালে। তৎকালীন ‘দৈনিক বাংলা’র সাহিত্য সাময়িকীতে। প্রথম বই প্রকাশ হয় ১৯৯০ সালে।
লেখকের উল্লেখযোগ্য কাজগুলির মধ্যে একটা হলো জীবনানন্দ দাসের জীবনী’র অনুবাদ। বাংলা ভাষা এবং সাহিত্যের ওপর বিশেষজ্ঞ একজন আমেরিকান লেখক ক্লিনটন বি. সিলি’র লেখা জীবনানন্দের জীবনী, ‘অ্যা পোয়েট অ্যাপার্ট’ বইটি অনুবাদের জন্যে তিনি ২০১১ সালে ‘আইএফআইসি ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার’ পান। এছাড়া ভ্রমণগ্রন্থ ‘সুদূরের অদূর দুয়ার’ এর জন্যে ২০১৯ সালে ‘সিটি-আনন্দআলো পুরস্কার’ লাভ করেন। একই বছরে তাকে দেয়া হয় ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০১৯’।
২০২০ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় ফারুক মঈনউদ্দীনের দুটি বই প্রকাশিত হয়। একটি গল্পগ্রন্থ। প্রকাশিত হয় সন্দেশ থেকে। নাম, ‘বৈরী স্রোত’। গ্রন্থটি মূলত লেখকের ১১টি গল্পের সংকলন।
এছাড়া বাতিঘর থেকে প্রকাশিত হয় পৃথিবীর নানান প্রান্তের ৬ জন লেখকের সাতটি গল্প। বইয়ের নাম, ‘দূর ভুবনের পাড়ে’। নোবেল পুরস্কার এবং বুকার প্রাইজ বিজয়ী দক্ষিণ আফ্রিকার লেখক নাডিন গার্ডিমারের একাধিক, অর্থাৎ দুইটি গল্প ছাড়া অন্যান্য লেখকদের একটি করে গল্প অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বইটিতে। অন্যান্য লেখকদের মধ্যে আছেন নোবেল এবং পুলিৎজার পুরস্কার পাওয়া লেখক জন স্টাইনবেক, জাপানের ৩ জন লেখক ইউকিও মিশিমা, শিমাকি কেনসাকু এবং কেনজাবুরো ওয়ে। এছাড়া ইউরোপের লেখক অলিভার ফ্রিজেইরির একটি গল্পও অনুদিত হয়েছে বইটিতে।
মূলত ‘দূর ভুবনের পাড়ে’ বইটি নিয়েই লেখক ফারুক মঈনউদ্দীনের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারহান মাসউদ। লেখকের গল্প নির্বাচনের পদ্ধতি, অনুবাদের প্রসঙ্গ, দেশের অনুবাদ সাহিত্যের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলাপ হয় বইমেলা প্রাঙ্গনে।
নিচে ফারুক মঈনউদ্দীনের সাক্ষাৎকারের ইউটিউব ভিডিও:
Comments are closed.